বিশেষ খবররাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কনটেন্ট সরানো নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার দাবি খণ্ডন তথ্য মন্ত্রণালয়ের

 

ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): তথ্য মন্ত্রণালয় ভারতীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কনটেন্ট সরাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথিত নির্দেশনার দাবি খণ্ডন করে তা ‘ভুয়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্ট চেক টিমের তদন্তে জানা গেছে যে ভারতের মিডিয়ার প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

টিমটি জানিয়েছে যে কিছু ভারতীয় মিডিয়া সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি রেডিও এবং টেলিভিশনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কনটেন্ট সরানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রধান বিষয়বস্তুগুলো হলো:

প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা নিয়ে কনটেন্ট প্রচার সরকারি রেডিও এবং টেলিভিশনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে  মর্মে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী পাকিস্তানকে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য দায়ী করা যাবে না এবং পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দ যেমন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং জুলফিকার আলী ভুট্টোকে সমালোচনা করা যাবে না বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সকল দলিল এবং ভিডিও প্রমাণ ধ্বংস করার কথা বলা হয়েছে।
পিআইবি ফ্যাক্ট চেক টিমের তদন্তে দেখা গেছে যে, অন্তবর্তী সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কনটেন্ট সরানোর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

এটি মূলত বাংলাদেশ বেতারের অফিস আদেশের তথ্য বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্তে দেখা গেছে যে, ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বেতারের প্রশাসন ও আর্থিক বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ ছিল।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ বেতারের সকল কেন্দ্র/ইউনিটের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ পর্যালোচনা করে সরকারি নীতির সঙ্গে বিরোধী সকল ছবি, তথ্য এবং কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করা হয়েছে এবং ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টা পর্যন্ত প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসনিক উইংকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এতে মুক্তিযুদ্ধ বা পাকিস্তান সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

এছাড়া, কোনো মিডিয়া বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এই দাবির সমর্থনে কোনো তথ্য বা খবর পাওয়া যায়নি।

ফলে ভারতের মিডিয়ায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কনটেন্ট সরানোর আদেশের বিষয়ে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button