এশিয়া কাপ: কীভাবে এতো বদলে গেল শ্রীলঙ্কা?
এশিয়া কাপ ক্রিকেটে সুপার ফোরের লড়াইয়ে টানা দুই জয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল শ্রীলঙ্কা। গতকাল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেনেটর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে। এক বল হাতে রেখেই ১৭৪ রান করে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা।
টানা তৃতীয়বার ১৭০-এর বেশি রান তাড়া করে জিতলো শ্রীলঙ্কা, অথচ এই দলটিই প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে গুটিয়ে গিয়েছিল ১০৫ রান করে। ওই ম্যাচ হারের পর কীভাবে এতো বদলে যাওয়া?
ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দেওয়ার পর লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা বললেন, ড্রেসিংরুমের অসাধারণ আত্মবিশ্বাসের কারণে এই প্রত্যাবর্তন।
ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স করে পুরস্কার বিতরণীর সময় শানাকা বললেন দলের মানসিকতার কথা, ‘ড্রেসিংরুমে আত্মবিশ্বাস অসাধারণ। প্রথম ম্যাচের পর আমাদের মধ্যে ভালো আলাপ হয়েছিল, আমরা জানি আমরা কী করতে পারি।’
১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ভারতকে চেপে ধরেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু রোহিত শর্মার ব্যাটিং ঝড়ে শক্ত দলীয় ইনিংসের ভিত গড়ে তোলে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। তার ৪১ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৭২ রান ভারতকে এনে দেয় ৮ উইকেটে ১৭৩ রান।
দিলশান মাদুশানকা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে শূন্য হাতে ফেরানোর পর এই পেসার নেন ঋষভ পান্ত ও দীপক হুদার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। যদিও মাঝের দিকে বোলাররা তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
মাদুশানকাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে শানাকা বলেন, ‘বোলাররা কিছু সময় ভালো বল করেছিল। দিলশানকে কৃতিত্ব দিতে হয় এবং ঠিকশানাকেও। তারা সত্যিই ভালো বল করেছে। ব্যাটসম্যানরা তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হয়ে উঠেছিল, কিন্তু আমরা ভালোই করলাম।’
১৭৪ রানের লক্ষ্যে নেমে পাথুম নিশানকা (৫২) ও কুশল মেন্ডিসের (৫৭) হাফ সেঞ্চুরি জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুই ওপেনারের ৯৭ রানের জুটি ভাঙার পর ১১০ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে পর বড় ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। তারপর ভানুকা রাজাপাকসাকে নিয়ে শানাকার জুটিতে উদ্ধার, ১৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক।
ব্যাটসম্যানদের নিয়ে শানাকার কথা, ‘পাথুম ও কুশল চমৎকারভাবে ছন্দ তৈরি করেছিল। পরে রাজাপাকসা ও আমি রান তাড়া করলাম।’
বল হাতেও দারুণ ছিলেন শানাকা। ২ ওভারে ২৬ রান দিলেও নেন সূর্যকুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ার উইকেট। নিজের চার ওভারের বোলিং কোটা পূরণ না করা নিয়ে বললেন, ‘টিম কম্বিনেশনের কারণে আমি আমার বোলিং কোটা পূরণ করিনি। দলের প্রয়োজনে আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’