নোয়াখালীতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ।
সোমবার ভোর থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির প্রশিক্ষিত ভলেন্টিয়ার ইতিমধ্যে উপকূল অঞ্চলে মাইকিং করছে।
হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন জানান, দ্বীপের বান্ধাখালী, মোল্লা গ্রাম, মুন্সি গ্রাম ও মদিনা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম হোসেন জানান, সেখানে ২৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৩ হাজার ৫৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে ৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত। এছাড়া অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ৭-৮ ফিট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের সম্ভবনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, হাতিয়া, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহিৃত করে ৩ লাখ লোকের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিম ১০১টি ও ২শত ৫০ মেট্রিক চন চাল, নগদ ৫লক্ষ টাকা, বিস্কুট ৭শ কার্টুন মজুত রাখা হয়েছে।