কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএফএম মঈন উদ্দিন বলেছেন, গবেষণা কাজে গর্ব করার মতো অবস্থায় রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে ৩১৬ ধাপ এগিয়ে ৪ হাজার ৯৩৩ তম স্থানে আছি।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও অসচ্ছল ২৩৭ জন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, গত বছর ৫৮ জনকে এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছিল। এবার ২৩৭ জনকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুচ্ছের আয় থেকে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, গুচ্ছ পদ্ধতির জন্য স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। কিন্তু গুচ্ছের কারণেই শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা কোনো দানের টাকা নয়। সবার আদর্শ, সততা ও কঠোর পরিশ্রমের ফসল আজকের এই অ্যাওয়ার্ড। টিচিং এবং রিসার্চে আমরা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। আজকের স্বীকৃতি আমাদের লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে আমরা গর্ব করার মতো অবস্থায় আছি। আমরা গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে ৩১৬ ধাপ এগিয়ে ৪ হাজার ৯৩৩তম স্থানে আছি। একজন শিক্ষক তখনই ভালো শিক্ষকে পরিণত হবেন, যখন তিনি গবেষণাতেও ভালো। আমাদের শিক্ষকরা গবেষণায় ভালো করছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এএফএম মঈন উদ্দিন বলেন, তোমরা দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। সে অনুপ্রেরণা দিতেই আজকের স্কলারশিপের আয়োজন। তোমরা এমন স্টুডেন্ট হবে, যেন দেশকে নাড়িয়ে দিতে পারো। মনে রাখবে, শিক্ষার উদ্দেশ্য কোনো কিছু গড়ে দেওয়া, ধ্বংস করা নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর মো. রশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. সফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী ও কুমিল্লা বিএনসিসি রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল ইসলাম প্রমুখ।