উচ্ছেদে গিয়ে মানুষসহ ঘরে আগুন দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট, মা-মেয়ের মৃত্যু
ঘটনাটি ভারতের। দেশটির উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাট বিভাগের মাধুলি নামক একটি গ্রামে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে গিয়ে একটি বাড়ির ভেতর মানুষসহ আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে প্রমিলা দীক্ষিত নামে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী ও তার ২০ বছর বয়সী মেয়ের নেহার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরের অন্যরা তাদের বাঁচাতে গিয়ে দ্বগ্ধ হয়েছেন।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে, সোমবার অবৈধ বসতি অপসারণে বুলডোজার ও পুলিশসহ মাধুলি গ্রামে গিয়েছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট গনেশ্বর প্রসাদ।
প্রথমে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ওই মা-মেয়ে নিজেরাই নিজ ঘরে আগুন দিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, স্টেশন হাউজ অফিসার এবং বুলডোজার অপারেটর। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিসাধনের মামলাও হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদে অভিযানে গিয়েছিলেন।
যে মাধুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে হঠাৎ বুলডোজার নিয়ে তাদের গ্রামে উপস্থিত হয় পুলিশ। উচ্ছেদের আগে তাদের কোনও পূর্ব নোটিশ দেওয়া হয়নি।
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া নারীর ছেলে শিভাম দীক্ষিত বলেছেন, “মানুষ ভেতরে থাকা অবস্থায় তারা ঘরে আগুন লাগাতে থাকে। আমরা কোনওমতে বের হতে সক্ষম হই। তারা আমাদের মন্দির ভেঙে ফেলেছে। কেউ কিছু করেনি, এমনকি বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটও। সবাই পালিয়ে যায়, কেউ আমার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।”
এদিকে ওই অঞ্চলের পুলিশ কর্মকর্তা এসপি মুর্থি জানিয়েছেন, তারা জানতে পেরেছেন ওই নারী ও কিশোরী নিজ ঘরেই আগুন দিয়েছেন। কিন্তু এখন অন্য ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদি তা সত্য হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বর্তমানে ওই গ্রামে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর পুলিশকে লক্ষ্য করে সাধারণ মানুষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর সেখান থেকে পুলিশ সরে যায়। সূত্র: এনডিটিভি